সখকে বাস্তবে রূপ দিতে নাঈমের ছুটে চলা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাঈম। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার হরিপুর গ্রামেই শৈশবের নির্মল মধুর সময় কেটেছে তাঁর। ছোটবেলার শখ একদিন বড় ক্যামেরা দিয়ে অসাধারণ ছবির অট্টালিকা সাজাবেন। বাবা-মা-বোন সবাই জানে ছোট থেকেই ছবি তোলার খুব ইচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর প্রিয় শখ ছবি তোলাকে বাস্তবে রূপ দিতে চেষ্টারত মো. নাঈম। তার সেই স্বপ্নের গল্প আলোকিত ভোরের পাঠকদের শোনাচ্ছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এ টি এম মাহফুজ।
দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে ফটোগ্রাফি নিয়ে চিন্তা করে, চেষ্টা করেন নিত্য-নতুন ছবি তোলার।নিজ গ্রাম পেরিয়ে সাইকেল যোগে তাঁর ছুটে চলা পাশ্ববর্তী ২-৩ গ্রামে। গ্রাম্য মানুষের কৌতূহলি মন ছবি তোলা দেখতেও পাশে থাকে অনেকে।
শখ পূরণে বাঁধা’র প্রশ্নে নাঈম বলেন, আমি গ্রামের মানুষের ছবি বেশি তুলি।বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর কারণে ভার্সিটি বন্ধ হয়ে গ্রামবাংলাকে ফুঁটিয়ে তোলার বেশ সুযোগ পেয়েছি ।

আর ছবির সাথে সবসময় আমার এলাকার নাম লিখি যাতে সবাই আমার এলাকার নাম জানতে পারে।গ্রামের মানুষের আমাকে সাপোর্ট করাটা অসাধারণ লাগে আমার কাছে।আমি যেরকমই চাই তারা আমাকে সেই রকম করেই সহযোগিতা করে।
নাঈমের পরবর্তী লক্ষ্য কোভিড-১৯ এর ছুটি শেষে যবিপ্রবি ক্যাম্পাস নিয়ে কাজ করা। যশোর খেজুর গাছের জন্য বিখ্যাত,তাই ক্যাম্পাসের আশপাশের গ্রাম ও গ্রামীণ বৈচিত্র্য কে তাঁর বাহুডরে আনতে চান। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যাম্পাস এর অনেক গুলা ইভেন্টে ছবি তোলেন( যেমনঃ ডিবেট ক্লাব, বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ইত্যাদি)।

গ্রামের পুরনো খেলাধুলা জিয়িয়ে রাখছে শিশুরা
প্রিয় শখের অর্জন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটোগ্রাফিক সোসাইটির “জাস্ট ইনডোর ফটোগ্রাফি কনটেস্ট” এ ২য় স্থান দখল করেছেন। পেশাজীবনে আলাদা পেশার পাশাপাশি

সরিষা খেতের পাশে হাসিখুশি গ্রামের স্কুল শিক্ষার্থী।
প্রিয় শখকে সঙ্গী করে পথ চলার স্বপ্ন লালন করে চলেছেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থী মো.নাঈম।